সারাবিশ্বে ভুয়া খবর ছড়ানোর শীর্ষে রয়েছে প্রতিবেশী ভারত। বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য ছড়ানোর দিক থেকে ভারত শীর্ষে রয়েছে। তথ্যের সঠিকতা খুব কমই যাচাই করা হয় দেশটিতে। অনলাইনে এসব ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে পড়ার গতিও দ্রুত বাড়ছে।

মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য ছড়ানো নিয়ে কয়েকদিন থেকেই তোলপাড় বাংলাদেশ ও ভারতের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। বাংলাদেশ নিয়ে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে ভারত, এমন অভিযোগ নতুন হলেও ভারত যে বরাবরই ভুয়া তথ্য ছড়ায় তার প্রমাণ মিলেছে আগেই। বিভিন্ন অপপ্রচার ও ভুয়া তথ্যে ভরপুর ভারতের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সংবাদমাধ্যমগুলোও।

বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম-ডব্লিউইএফ এর গ্লোবাল রিস্ক ২০২৪ শীর্ষক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মিথ্যা ও ভ্রান্ত তথ্য ভারতে বড় হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। ৩৪টি দেশের অর্থনৈতিক, পরিবেশগত, ভূরাজনৈতিক, সামাজিক এবং প্রযুক্তিগত ঝুঁকির মধ্যে র‌্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, সংক্রামক রোগ, বৈষম্য এবং বেকারত্বের তুলনায় ভারতের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে অপপ্রচার ও ভুয়া তথ্য ছড়ানো।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পর্যবেক্ষণকারী ‘স্টাটিস্টা’-র গবেষণা প্রতিবেদন থেকেও এমন চিত্র পাওয়া গেছে। তবে ভুয়া তথ্য ছড়ানোয় শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ নেই, যা দেশের জন্য একটি ইতিবাচক দিক। গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে সামাজিক মাধ্যমে মিথ্যা তথ্যের প্রভাব তুলনামূলক কম।

প্রযুক্তি জায়ান্টা মাইক্রোসফটের এক সমীক্ষাতেও দেখা গেছে, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ভুয়া খবর ছড়ায় ভারত। ৬০ শতাংশেরও বেশি মানুষ অনলাইনে ভুয়া খবরের মুখোমুখি হয়েছেন। ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রতারণার শিকারও হয়েছেন অনেকে। জরিপে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ, অনলাইন বুলিং, মিথ্যা তথ্য ও ভুয়া খবরসহ বিভিন্ন অনলাইন ঝুঁকির বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করা হয়। এতে দেখা গেছে, ভারতে অনলাইনে ঝুঁকি ছড়িয়ে পড়ার গতি দ্রুত বাড়ছে।

তথ্য প্রচারের আগে ভারতে তথ্যের সঠিকতা খুব কমই যাচাই করা হয়। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ভারতেই সবচেয়ে বেশি কনটেন্ট ফরওয়ার্ড করা হয়। ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বলছে, ভারত সরকার ভুয়া খবর মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। বরং বেড়েই চলেছে ভুয়া খবরের পরিমাণ।